এশিয়াটিক সোসাইটির ঐতিহ্য জাদুঘরের ৪র্থ প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন।
আজ , 11.10.2021, আমাদের খুশির দিন, এশিয়াটিক সোসাইটি ঐতিহ্য জাদুঘরের চতুর্থ প্রতিষ্ঠা দিবস। ২০১৮ সালের এই দিনে এ-ই জাদুঘরে দ্বার উন্মুক্ত করা হয়। ইতোমধ্যে তিন বছর পার করে চতুর্থ বর্ষের যাত্রা শুরু হলো। দেউড়ি ভবনকে সংরক্ষণ করে ঢাকার ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে জাদুঘর স্থাপন করতে পেরে আমরা গর্বিত, প্রতিষ্ঠা দিবসের আলোচনায় বক্তারা এ-ই কথা বলেন।
এশিয়াটিক সোসাইটি ঐতিহ্য জাদুঘরের চতুর্থ প্রতিষ্ঠা দিবসে অনলাইন সেমিনারের আয়োজন করে। সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক মাহফুজা খানমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে এশিয়াটিক সোসাইটি ঐতিহ্য জাদুঘরের উপর প্রেজেন্টেশন পেশ করেন জাদুঘরের কিউরেটর জাহাঙ্গীর হোসেন এবং নায়েব -নাজিম আমলে ঢাকাঃ একটি পর্যালোচনা শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. নুসরাত ফাতেমা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন এশিয়াটিক সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. সাব্বীর আহমেদ।
বক্তরা বলেন, আঠারো ও ঊনিশ শতকে ঢাকার শাসন করেছেন নায়েব – নাজিমগণ। তাদের বসবাসের জন্য আঠারো শতকের শেষ অর্ধে নির্মাণ করা হয়েছিল নিমতলি প্যালেস। সেই প্যালেসের একমাত্র অবশিষ্ট দেউড়ি ভবন। এই দেউড়ি ভবনে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে এ-ই জাদুঘর। এখানে তুলে ধরা হয়েছে ১৭০০ থেকে ১৯০০ শতকের ঢাকার ইতিহাস। ঐ সময়কার সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য পাঁচটি গ্যালারিতে উপস্থাপন করা হয়েছে।
ইতোমধ্যে দেশি-বিদেশি অতিথি জাদুঘর পরিদর্শনে এসে প্রশংসা করে মন্তব্য করেছেন। বিভিন্ন গাইড বইতে এই জাদুঘরের তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে এই সম্পর্কে আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। জাদুঘরটি ঢাকার ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
সভাপতির ভাষণে অধ্যাপক মাহফুজা খানম বলেন যে,এ-ই জাদুঘরটি প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন প্রফেসর শরীফ উদ্দিন আহমেদ, প্রফেসর একেএম গোলাম রাব্বানী, প্রফেসর আবু সাইদ এম আহমেদ। বাস্তবায়ন পর্যায়ে ড. সাব্বীর আহমেদ, ড. ফিরোজ মাহমুদ, জনাব জাহাঙ্গীর হোসেন, অধ্যাপক হাফিজা খাতুন, জনাব আবদুর রহিমসহ অনেকে এ জাদুঘর প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।ঢাকাবাসীগণ তাদের মূল্যবান নিদর্শন দিয়ে আমাদের কৃতজ্ঞতার পাশে আবদ্ধ করেছেন। সকলের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ। বিগত দুই কাউন্সিল ও বর্তমান কাউন্সিলের সদস্যবৃন্দের সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ভবিষ্যত প্রজন্ম এ জাদুঘর থেকে আমাদের গৌরবময় ইতিহাস জানতে বলে আমার বিশ্বাস।
প্রতিষ্ঠা দিবসে অতিমারির জন্য সরাসরি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা সম্ভব হয়নি বলে দুঃখিত।